অফিডিয়ান - এর সকল পর্ব একসাথে

একটি অন্যন্য গল্প সিরিজ #অফিডিয়ান। এই গল্পটির প্রতিটা পর্ব পাঠক রোমাঞ্চ অনুভব করবে। এই কাহিনীতে একটি অস্বাভাবিক মানবের বিদ্ধস্ত জীবন কিভাবে একটি স্বাভাবিক মানবী পরির্বতন করে সেই ব্যাপারে পাঠক জানতে পারবে। এক কথায় গল্পটি পাঠক/পাঠিকাদের জন্য নতুন দরজা খুলে দিয়েছে।

অফিডিয়ান | পর্ব – ১

অফিডিয়ান | পর্ব – ১

উত্তরের ঘন জঙ্গল এর পাশের আলিশান বাড়িটার লিভিং রুমে সোফায় বসে আছেন শামসুল কাদের, পাশেই বসে আছে, তার ছোট মেয়ে রুমাইশা কাদের।

অফিডিয়ান | পর্ব – ২

অফিডিয়ান | পর্ব – ২

লিভিং রুমে ঢোকার আগ মুহুর্তে বাবা আর ফুপ্পার কিছু কথা কানে এলো রুমাইশার৷ ফুপ্পা থেমে থেমে বলছেন, —দেখ শামসুল, ছেলে আমার আজ ও অপরাধ বোধে ভোগে৷ ওই ঘটনার পর থেকে ও নিজেকে সবার থেকে গুটিয়ে নিয়েছে৷

অফিডিয়ান | পর্ব – ৩

অফিডিয়ান | পর্ব – ৩

রুমের ভেতর ঘুটঘুটে অন্ধকার। রুমাইশা উঠে ঘড়ি দেখলো, তিন টা বাজে। এই সময়ে কিসের শব্দ হলো, আর রুমের ভেতর এত অন্ধকার কেন? ঘুমানোর সময়ে তো রুমে আবছা আলো ছিল।

অফিডিয়ান | পর্ব – ৪

অফিডিয়ান | পর্ব – ৪

বিকেলের দিকে রুমাইশা আর শাফিন বেরোলো জঙ্গলের ভেতর ঘুরতে। দুপুরের একটু আগে এসে শামসুল কাদের রুমাইশার বই খাতা, কিছু জামা কাপড়, আর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস এনে দিয়ে গেছে৷ সেগুলো গোছ গাছ করে গোসল সেরে খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে ওরা ভাবলো জঙ্গল টা একটু ঘুরে আসা যাক৷

অফিডিয়ান | পর্ব – ৫

অফিডিয়ান | পর্ব – ৫

আজ ও রুমের ভেতর ঘুটঘুটে অন্ধকার। বাইরের আলোটা কেউ অফ করে দিয়েছে, শাফিন বলেছিল সাফওয়ান ভাইয়া বন্ধ করতে পারে। কিন্তু ও তো থাকে চিলেকোঠায়৷ ও কেন এত রাতে এসে লাইট বন্ধ করবে?

অফিডিয়ান | পর্ব – ৬

অফিডিয়ান | পর্ব – ৬

—সা—সাফওয়ান ভাইয়া! তুমি! রুমাইশা অবাক হলো। সাফওয়ান যে এত্ত লম্বা হবে ও ভাবতেই পারেনি! সাফওয়ান এর দিকে কিছুটা এগিয়ে এসে রুমাইশা বলল, —ক্ষিদে পেয়েছে তোমার? কিছু করে দেবো?

অফিডিয়ান | পর্ব – ৭

অফিডিয়ান | পর্ব – ৭

এক্সাম শুরু হতে আর ১ দিন আছে, ধুমছে পড়াশোনা করছে রুমাইশা। সাথে শাফিন ও। সেই দিনের পর থেকে সাফওয়ান এর সাথে রুমির আর দেখা হয়নি। শেষ রাতের সেই অদ্ভুত শব্দটাও আর হয়নি। সেটাকে নিছকই মনের ভুল ভেবে নিয়েছে রুমাইশা, হয়তো মস্তিষ্কের ওপর চাপ পড়ছিলো অনেক তাই ভুলভাল দেখেছে৷ ওসব নিয়ে আর মাথা ঘামায়নি ও৷

অফিডিয়ান | পর্ব – ৮

অফিডিয়ান | পর্ব – ৮

সিড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে স্পুনে লেগে থাকা আইসক্রিম চেটে খাওয়ার জন্য মুখটা খুললো সাফওয়ান। আর এরপর মুখ হা করতেই সাফওয়ানের কুচকুচে কালো মুখগহ্বরের ভেতর ক্যানাইন দাঁতের জায়গায় রুমাইশা দেখতে পেলো দুইটা ঝকঝকে সাদা, তীক্ষ্ণ, ধারালো, লম্বা আর সরু দাঁত।

অফিডিয়ান | পর্ব – ৯

অফিডিয়ান | পর্ব – ৯

রুমাইশা শোয়া থেকে উঠে বসল। চোখ দুটো মুছে নিলো ভালোভাবে৷ এই অসময়ে কে আসবে? ফুপ্পি? না শাফিন! ভাবতে ভাবতে উঠে দরজা খুলে দিলো রুমাইশা। কিন্তু কাউকেই সামনে পেলো না৷ মনে মনে শাফিনের ওপর খুব বিরক্ত হলো।

অফিডিয়ান | পর্ব – ১০

অফিডিয়ান | পর্ব – ১০

সাদা ওড়নাটা বিছিয়ে আছে বিছানার ওপর, নিতম্ব ছাড়ানো চুল গুলো ডানপেশে হয়ে ছড়িয়ে আছে। নরম হাত দুইটা দিয়ে মোবাইল ফোন টা ধরে উপরের দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ভাবছে রুমাইশা বাক্যটা কিভাবে সাজালে সাফওয়ান ভাইয়ের মনপুত হবে।

অফিডিয়ান | পর্ব – ১১

অফিডিয়ান | পর্ব – ১১

রুনিয়া খাবার নিয়ে ছাদে এলেন। কারো পায়ের শব্দ শুনে সাফওয়ান সতর্ক হয়ে উঠলো। ফুল স্লিভ শার্ট পরে গলার কাছের স্কেলি আবরণ টাকে মেকআপ দিয়ে সুচারুতার সাথে ঢেকে দিয়ে, চোখে ডার্ক গগলস, মুখে মাস্ক পরে, চুল গুলো হাত দিয়ে মাথার পেছন এর দিকে সরিয়ে দিলো।

অফিডিয়ান | পর্ব – ১২

অফিডিয়ান | পর্ব – ১২

নামাজ শেষে ইশতিয়াক, সাফওয়ান আর শাফিন বাড়ি ফরে এলো। সৌভাগ্যের বিষয় এটাই যে কোনো অসুবিধা হয়নি। শাফিন আর সাফওয়ান দুজনেই শেষের কাতারে দাড়িয়েছিলো।

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৩

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৩

আজ জানালায় গ্লাস লাগাতে একদমই ভুলে গেছে রুমাইশা। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই৷ এখন গ্লাস লাগাতে গিয়ে শব্দ হলেই ও পুরাই শেষ। আপাতত গ্লাসের ভাবনা মাথা থেকে তাড়াতাড়ি সরিয়ে সামনের দিকে মনযোগ দিল ও৷

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৪

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৪

দেড়টার দিকে একবার জেগে গেলো ও, কিন্তু পুরোপুরি জাগলো না, শুধু কান দুটো সজাগ হলো। কিন্তু তুমুল বৃষ্টির শব্দ ছাড়া কিছুই শুনলো না, পরক্ষণেই আবার ঘুমিয়ে পড়লো। বৃষ্টির বেগ সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো ওঠানামা করছে।

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৫

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৫

বিছানায় চিত হয়ে , লম্বা চুল গুলো এক পাশে করে রেখে কোলবালিশে ডান পায়ের হাটু ঠেকিয়ে বুকের ওপর হাত রেখে শুয়ে আছে রুমাইশা। ঘুম নেই ওর চোখে। আর যা হয়েছে আজ রাতে তাতে ওর ঘুম আসলেই বরং আশ্চর্যের ব্যাপার হতো।

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৬

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৬

দু বার রিং হওয়ার পর ফোন ধরলো শাফিন৷ ফোন ধরেই শাফিন বলল, —এদিকে সব ক্লিয়ার ভাইয়া। মা একটু আগে রান্না ঘরে এলো। বাবা রুমে আছে। কাজের খালা এখনো আসেনি।” সাফওয়ান প্রতিউত্তরে শুধু হুম বলে ফোন রেখে দিলো।

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৭

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৭

অনেক গুলো দিন পর নিজের রুমে এসে রুমাইশার কেমন জানি ফাকা ফাকা ঠেকলো। কিন্তু জ্বরের ঘোরে এসব নিয়ে ভাবার সময় পেলো না ও। বিছানায় যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লো ও।

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৮

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৮

হকচকিয়ে গেলো রুমাইশা। ভয়ে হাতে ভর দিয়ে বিছানার এক কোণায় সরে গিয়ে আয়েশা কে কল দেওয়ার জন্য ফোনের সুইচ টিপলো ও, ‘এ কি! ফোনের নেটওয়ার্ক নেই কেন! কি হলো নেটওয়ার্কের, একটু আগেও তো ছিলো!”

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৯

অফিডিয়ান | পর্ব – ১৯

রুমাইশা কে এইভাবে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সাফওয়ান বিছানা থেকে নামতে নামতে নির্বিকার কণ্ঠে বলল, —দ্বিতীয়ত তোকে আমার চাই। তারপর একটু বিরতি দিয়ে বলল, —এখনই উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই, সময় নিয়ে ভেবে চিনতে উত্তর দিস।

অফিডিয়ান | পর্ব – ২০

অফিডিয়ান | পর্ব – ২০

রুমাইশাদের বাড়ির পাশ থেকে বিশ পচিশ হাত দুরত্ব রেখে মেইন রোড চলে গেছে। ভেজা জামা কাপড় গুলো হাতে নিয়ে শামসুলের সাথে রাস্তা থেকে নেমে বাড়িতে ঢুকলো রুমাইশা। আয়েশা ওদের অপেক্ষাতেই ছিলেন।

Logo Light

হারিয়ে যান গল্পের দুনিয়ায়

2025 © Golpo Hub. All rights reserved.