লিনি ম্যাম আজ এই মেয়েটাকে স্যারের রুমে পাঠাবো। আপনি একটু দেখে নিন সব ঠিক আছে কিনা। _মিস.লিনি ভালোভাবে মেয়েটাকে দেখে নিলেন।তারপর তার সামনে দাড়িয়ে থাকা মহিলাকে বললেন….. : : লিনি:হুম ঠিক আছে। মনেত হয় স্যারের পছন্দ হবে। তবে আর একটু সাজিয়ে দেও নাহলে যদি কোনো কারনে স্যারের চুলপরিমানও অপছন্দ হয় তাহলে আমাদের কপালে কি আছে আসা করি তুমি বুঝতে পাড়ছ হেনা।(গম্ভীর ভাবে বললেন)
আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছে অরিএান। পিঠের দাগুলো দেখছে আর ঠোঁট বাকিয়ে টেড়ি স্মাইল দিচ্ছে। সাওয়ার নিয়েছে সকালে তাই চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। তবে সেদিকে তার মনোযোগ নাই।সে তার দাগ নিয়ে পরে আছে। ভাবছে মেয়েটার সাহস তার ভাবনার চাইতেও এক ইন্ছি বেশি।
ওয়াসেনাত :ওরে চান্দু আপনার নাম তো আর ভেঙ্গাই নাই! তাইলে আপনার এত লাগে কা।ওই পোলারে তো আমি পরিএান এই ডাকমু।দেখি কার বাপের কি??হুু।আরে আপনিতো যানেন না কেনো ওনার নাম পরিএান দিছি।
অরিএান ব্রিজের উপড় দাঁড়িয়ে আছে।আজ ১৫বছর পরে তার নিজের উপড় নিজের এত রাগ হচ্ছে।এ রাগের কোনো কারন খুঁজে পাচ্ছে না সে।কেনো এত রাগ হচ্ছে??কেনো??সুধু একটা মেয়েকে থাপ্পড় দিয়েছে বলে তার নিজের উপড় এত রাগ হচ্ছে এটা সে মানতে নারাজ।তার ধারণা সে তো অনেক মেয়েকে এমন থাপ্পড় দিয়েছে।
ওয়াসেনাত বাসায় গিয়ে তার আম্মুুুু আর ছোটো ভাই আলিফ আর আসিফের সাথে কিছিুক্ষণ গল্প করে তাদেরকে খাবার দিয়ে নিজের রুমে চলে যায়।তারপর ফ্রেশ হয়ে তার খাটে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে পড়ে।আর শোয়ার সাথে সাথে স্বপ্নের দুনিয়ায় চলে যায়। ওয়াসেনাতের জিবনটাই হাসি মজার।সে সব সময় হাসতে এবং হাসাতে ভালোবাসে।
ওয়াসেনাত খুবই বিরক্তি নিয়ে অরিএানের দিকে তাকিয়ে আছে।কিন্তু ব্যাটা শয়তান অরিএানের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই।সে তার নিজের মত গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। তার ভাব দেখে মনে হবে তার আশেপাশের কোনো ব্যক্তি তো দূর কোনো প্রানিও নেই।ওয়াসেনাত কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তার হাতে থাকা আইসক্রিমটা খাওয়া শুরু করে।ওয়াসেনাত খুব মনোযোগ দিয়ে আইসক্রিম খাচ্ছে।
ও হ্যালো মি.আপনাকে নাম জিগ্যেস করেছি।আর আপনি এমন একটা ভাব দেখাচ্ছেন মনে হয় আমি বলেছি সৌরজগৎ তে কত হাজার নক্ষত্র আছে বলেন??নিজের নাম বলতে এত সময় লাগার কি আছে।আরে আমি তো খোলিল স্যার না যে আপনাকে কিছুক্ষণ আগে এক থাপ্পড়ে আপনার নাম ভুলিয়ে দিয়েছি।আর এখন জিগ্যেস করছি দেখে আপনি
অরিএান অবাক আসলে অবাক বললে ভুল হবে সে ভয়াবহ ভাবে অবাক তার সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা দেখে।ওয়াসেনাত তার বাবার চাইতে বয়স বেশি হবে এমন একজন পুলিশকে ইট নিয়ে তেড়ে যাচ্ছে। অরিএানের মাথায় এটা আসছে না কেনো এমন করছে।কেনো আবার মারার জন্যে😂এই সামান্য কথা কেনো যে অরিএানের মাথায় আসছে না
ওয়াসেনাত সামনে তাকিয়ে আছে। আজ কত দিন পড়ে সামনের লোকটাকে দেখছে।সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে নাই তাই ছাপিয়ে পড়ে তাকে জড়িয়ে ধরেছে।লোকটিও তাকে অতি যত্নে আগলে ধরে আছে।অনেকক্ষন ধরে ওয়াসেনাতকে না আসতে দেখে তার মা হাতরাতে হাতরাতে দরজার সামনে এসে থমকে যায়।সেই পরিচিত চিরচেনা ঘ্রাণ নাকে এসেছে বলে কথা।থমকে
গাড়িটা খুব জোড়ে আসছিল ওয়াসেনাতের দিকে। গাড়িটি ওয়াসেনাতের খুব কাছে এসে জোড়ে ব্রেক করে যার কারনে ওয়াসেনাত হালকা ধাক্কা খেয়ে মাথায় খানিকটা কেটে পেলে।তারপরও ওয়াসেনাত নিজেকে সামলিয়ে নেয়।উঠে দাড়ায় সাথে ছাগলটাকে নিয়ে। তাকে একটু দূরে ছেড়ে দেয়।ওয়াসেনাত কিছু বলার আগেই গাড়ি থেকে অতি সুদর্শন এক পুুরুষ নেমে আসে।আর বলে
অরিএান খুব জোড়ে গাড়ি চালাচ্ছে।ওয়াসেনাত তার পাশেই বসে আছে।ভয়ে সে চোখগুলো বন্ধ করে রেখেছে।অরিএানের দিকে তাকালেই তার আরো ভয় লাগছে।কেমন যেনো ভয়ংকর লাগছে তাকে। ওয়াসেনাত বরাবরি বাচাল।তবে ভয়ে কিছু বলতে পারছে না।তারপরেও অধিক সাহস যোগিয়ে বলে উঠে………… __আমরা কই যাচ্ছি??আমার ভার্সিটিতে ক্লাস আছে।যেতে হবে অলরেডি একটা ক্লাস শেষ মনে
ওয়াসেনাতকে বাসার সামনে নামিয়ে দেয় অরিএান। আসার পথে তেমন কোনো কথা হয় নি দুজনের মাঝে।তবে ওয়াসেনাত একটা দুইটা বলার চেষ্টা করেছে।কিন্তু অরিএানের উওর মেলেনি।আর প্রশ্ন করা ওয়াসেনাতের তেমন পছন্দ না।তার উপড় যদি কেউ জবাব না দেয় তাকে ওয়াসেনাত দ্বিতীয় বার একি প্রশ্ন খুব কম করে।
সকাল থেকে ওয়াসেনাত কাজ করতে করতে টায়ার্ড।এখন বিকাল ৫ বাজে।৭টায় পার্টি শুরু হবে এখনও অনেক কাজ বাকি। ওয়াসেনাতের তো মাথা প্রচুর পরিমাণে গরম হয়ে আছে।তার এখন মন চাচ্ছে কর্মি গুলোরে ঘুষি মেরে নাক পাটিয়ে দিতে।সাথে ১০ বালতি ঠান্ডা পানি ডালতে।যাতে লোকগুলো ঠান্ডায় মরামরা হয়ে যায়।
অরিএানের মাথা রাগে ফেটে যাচ্ছে। সুধু যে অরিএানের মাথা রাগে ফাটছে ব্যাপারটা মোটেও তেমন না। অরিএানের সাথে আরও দুজনের রাগও বারছে।তবে তাদের মাঝে অরিএানের আর একজনে রাগের কারন একই কিন্তু বাকি জনের কারন আলাদা। কিন্তু সবার রাগ এক ব্যক্তিকে ঘিরে। : : অরিএানের রাগের একমাএ অধিপতি অরুপ।
ওয়াসেনাত রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে আর তার সাথে রিমি।ওয়াসেনাত প্রচণ্ড বিরক্ত ভঙ্গিতে রিমির দিকে তাকিয়ে আছে।কারন একটাই রিমির আজাইরা বকবক।যা ওয়াসেনাতের মোটেও পছন্দ হচ্ছে না।ওয়াসেনাতের এখন ইচ্ছে করছে রিমির মুখে কস্টিভ লাগিয়ে দিয়ে বলতে এবার বল কত কথা বলতে পারিস।কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্যি ওয়াসেনাতের কাছে এমন কিছুই নেই।
বিছানায় পা ঝুলিয়ে বসে আছে ওয়াসেনাত। ভাবছেন বিছানায় কিভাবে পা ঝুলানো যায়?আসলে বিছানার একপাশে এসে নিচের দিকে ঝুলিয়ে রেখেছে।তার দৃষ্টি সামনের দিকে।তবে তার চেহারা দেখে তার ভাবমূর্তি কিছু বুঝা যাচ্ছে না। আর তার সামনের দিকে তার দৃষ্টি বরাবর বসে আছে অরিএান। চেয়ারে বসে হাতগুলো মুষ্টি বদ্ধ করে নিচের দিকে
এই দুইমাসে অরিএান নিজেকে ভেঙে এক নতুন অরিএানের জন্ম দিয়েছে।আগের অরিএানের সাথে এখন কার অরিএানের তেমন মিল নেই বলেই চলে।ব্যাপারটায় রিমন প্রচণ্ড আবাক।অরিএান এখন পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ পরে।রিমন তো মাঝ রাতে অরিএানের রুমের সামনে দিয়ে গেলে প্রচণ্ড রকমের ঝাটকা খায়।এটা দেখে যে অরিএান মাঝ রাতে নামাজ পরে আবার মাঝে
ওয়াসেনাত ভিজে চুপচুপ হয়ে বাসায় এসে পৌছে।বাসার দরজা আগে থেকেই খোলা ছিল।ওয়াসেনাত দরজার সামনে দাড়াতেই তার মা এসে হাজির।তিনি ওয়াসেনাতের গা ছুঁয়ে ছুঁয়ে তার গালে হাত রাখতেই অবাক হলেন এটা ভেবে তার মেয়ের মুখ এত গরম হয়ে আছে কেনো।ওয়াসেনাতের মার এখন ইচ্ছে করছে এক মগ পানি ওয়াসেনাতের গরম মুখে
ওয়াসেনাত বিরক্তি মার্কা মুখ করে গভীর চিন্তায় মগ্ন। তার এই মগ্ন হওয়ার পিছনে একটা বিশেষ কারন আছে।আর কারনটা হচ্ছে রিমি।আজ সকাল থেকেই ওয়াসেনাতের মাথায় একটা কথা ঘুরপাক খাচ্ছে।কথাটা হচ্ছে রিমিত অরিএান বলতে পাগল আর সে যে অরিএানের সম্পর্কে এবং অরিএানকে ভাল করে চিনে এটাতে কোন সন্দেহ নেই।
ওয়াসেনাত ভ্রু কুচকে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে।রিমি ওয়াসেনাতের জামার পিছনের অংশ খামছে ধরে হেসেই চলেছে।ওয়াসেনাতদের কাজের মেয়ে রূপালি ওয়াসেনাতের পাশে দাড়িয়ে হাসি আটকানোর চেস্ট করছে। রূপালি রসিক টাইপের মেয়ে। ওয়াসেনাতকে তার অতিব মাএায় ভাল লাগে।তাই ছলে বলে কৌশলে ওয়াসেনাতের সাথে কথা বলার ধান্দা খুজে। ওয়াসেনাত ছাদে পানি দিতে গেলেই